1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

সরকার ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়

  • Update Time : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
  • ২২৩ Time View

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় সরকার। ব্যয়বহুল এলএনজির কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে চাহিদার চেয়ে উৎপাদনক্ষমতা বেশি থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ও বিতরণে ভুল নীতি-পরিকল্পনার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষ দুই সংস্থা পেট্রোবাংলা এবং পিডিবি সূত্র জানায়, দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতে বিদেশ থেকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করছে সরকার। দেশজ প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে এলএনজি মিশিয়ে যে পরিমাণ গ্যাস পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে তার অর্ধেকের বেশি অংশ ব্যবহার করছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো। একদিকে ব্যয়বহুল জ্বালানি থেকে উৎপাদন, অন্যদিকে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুত্ সরবরাহ দেশের জ্বালানি অর্থনীতিতে বড় সংকট তৈরি করছে।

আরও পড়ুন:আমি জাত গোখরো, বিজেপিতে যোগ দিয়ে হুঙ্কার মিঠুনের

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এলএনজি থেকে বিদ্যুৎ উত্পাদনের কারণে পিডিবিকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করাকে ভালো বিকল্প মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, আমদানিকৃত প্রতি ঘনফুট এলএনজির বর্তমান দাম প্রায় ২৭ টাকা। আর পিডিবির কাছে তা বিক্রি করা হচ্ছে চার টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ঘনফুটে মূল্যঘাটতি ২৩ টাকা। পিডিবি চার টাকা মূল্যে গ্যাস পেয়েও ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। এমন পরিস্থিতিতে এলএনজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি এবং বিদ্যুত্ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও গুরুত্বসহ বিবেচনায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিডলাইন হয়ে বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ভারত। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে দৈনিক ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি করছে। গত ছয় বছরে এ আমদানি বাবদ ১৬ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা খরচ করেছে পিডিবি।

আরও পড়ুন: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহ করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। বিভিন্ন উৎস জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানিও করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমদানি আরও বাড়বে। তবে তা শুধু ভারত থেকেই নয়, নিকটবর্তী অন্য দেশ থেকেও হতে পারে। সরকারের সে পরিকল্পনা রয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর জন্য প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে গ্যাসভিত্তিক যেসব বিদ্যুেকন্দ্র আসবে, সেগুলোর জন্য আরো ১ হাজার ৪৬৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের একটি চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়েছে। অথচ দেশীয় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি শিগিগরই হচ্ছে না।

বর্তমানে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ৭৯টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি ৩৭টি, আইপিপি ২৯টি এবং রেন্টাল কেন্দ্র ১৩টি। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ১২ হাজার ৬৯২ মেগাওয়াট। এসব কেন্দ্রের অনুমোদিত লোড ২ হাজার ৫২৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বিপরীতে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ১ হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে সরকার ভুল নীতি গ্রহণ করেছে। তার মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয় নিয়ে আসবে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণনীতি এবং প্রক্রিয়া কোনোভাবেই আদর্শ অবস্থায় নেই।’

বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবি জানায়, বর্তমানে দেশে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২১ হাজার ২৩৯ মেগাওয়াট। কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার কথা রয়েছে। অথচ দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের গড় চাহিদা দৈনিক সাড়ে ৯ হাজার থেকে সাড়ে ১০ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে। অর্থাৎ বিদ্যুতের মোট উৎপাদনক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশই ব্যবহূত হচ্ছে না।সূত্র:ইত্তেফাক

আরও পড়ুন : বার্মিংহামে দুস্কৃতিকারী প্রতিবেশীর হামলার শিকার দুই বাঙালি সহোদর, পুলিশের নিস্ক্রিয় ভূমিকা

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..